সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ সরকারি খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা কর্মী মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,নিরাপত্তা কর্মী মাসুদুর রহমান বিনা অনুমতিতেগত ২৩ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় গুদাম কর্তৃপক্ষ গত ১০ নভেম্বর লিখিতভাবে স্মারক নং- (১৩.০১.৮১৯৪.০০১.০১.০০২.২৪.৪৭১) মাসুদুর রহমানের বিনা অনুমতিতেকর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উর্ধ্বস্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।অন্যদিকে গত ২৮ অক্টোবর ৫৩৮ নম্বর পত্র দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করা হয়। এদিকে লিখিত পত্রে বলা হয়ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়, কামারগাঁ, তানোর, রাজশাহীর ২৮/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখের ৫৩৮ নং পত্র। উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে মহোদয়ের সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র উপজেলাধীন কামারগাঁ খাদ্য গুদামে কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরী মাসুদুর রহমান গত ২৩/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে সূত্র স্মারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কামারগাঁ এলএসডি হতে জানান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কামারগাঁ এলএসডির লিখিত প্রতিবেদন পেয়ে নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক কামারগাঁ এলএসডি পরিদর্শন করা হয়। কামারগাঁ এলএসডি পরিদর্শনকালে রেকর্ডপত্রে দেখা যায় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ২৩/১০/২০২৪ তারিখ হতে নিরাপত্তা প্রহরী মাসুদুর রহমান- কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। অত্র দপ্তর হতে ২৯/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখের ৪৫৫ নং স্মারকে মাসুদুর রহমান এর স্থায়ী ঠিকানায় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়। মাসুদুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী, কামারগাঁ এলএসডিতে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে অদ্যবদি অত্র দপ্তরে লিখিত জবাব দাখিল ও যোগাযোগ করেন নাই। এমতাবস্থায় তিনি ‘বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন’ মর্মে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হলো। এদিকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পাশাপাশি মাসুদুর রহমান ব্যবসায়ী নাজিম সরদারের যোগসাজশে ভুয়া ডিওলেটার দিয়ে ১১ মেট্রিক টন চাল গুদাম থেকে হাতিয়ে নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
অন্যদিকে ডিওলেটার জালিয়াতির মুলহোতা নাজিম সরদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছে,ডিওলেটার জালিয়াতির সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত,তা না হলে তারা নিশ্চুপ কেন ?। এবিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা প্রহরী মাসুদুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন,তার কাগজপত্র তিনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (ডিসিফুড) কাছে জমা দিয়েছেন, ডিসিফুড মহোদয় তাকে এখানে যোগদান করতে বলেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে।এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মলিউজ্জামান সজীব বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply